রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, নিহত এক

প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২২ | আপডেট: ৩:১৯:অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২২

রুশ বিমান ঘাঁটি যেদিকে সেদিকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়

ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে একটি রুশ বিমান ঘাঁটিতে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫জন। তবে বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ওই অঞ্চলের সাকি ঘাঁটিতে কিছু যুদ্ধাস্ত্র বিস্ফোরিত হয়। তবে ওই ঘাঁটিতে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইউক্রেনীয় সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে বলা হচ্ছে, কিয়েভের বাহিনী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওই ঘাঁটিতে আঘাত করেছে। সাকি ঘাঁটিটি রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানার জন্য ব্যবহার করছে।

রাশিয়ার নিয়োগ করা আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান সের্গেই আকসনভ জানিয়েছেন, ক্রাইমিয়ায় একটি বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ক্রাইমিয়া উপত্যকার পশ্চিম উপকূলে নভোফেদোরিভকার কাছে স্যাকি বিমান ঘাঁটিতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, ইউক্রেন এবং রাশিয়া ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্র, পাওয়ার স্টেশনে গোলাগুলির জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে এবং কর্মকর্তারা পারমাণবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছেন।

এদিকে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ মঙ্গলবার ভোরে বলেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর ‘সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি’ করার চেষ্টায়, পূর্ব ডোনেটস্ক অঞ্চলের কেন্দ্রীয় শহর বাখমুত এবং আভদিইভকার দিকে মস্কো তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়ার বিমান বাহিনী সামনের লাইন থেকে ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে, সাঁজোয়া বাহিনী এবং অন্যান্য স্থল অভিযানের সহযোগিতায় ডোনেটস্কের দিকে সামরিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করছে।

অন্যদিকে, ব্রিটিশ গোয়েন্দারা সোমবার সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে তার প্রতিরক্ষা লাইন রক্ষা ও ধরে রাখার প্রয়াসে অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন ব্যবহার করছে, যার ফলে সামরিক এবং স্থানীয় বেসামরিক জনগণ উভয়ই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

 

 

 

তবে, কিয়েভের সামরিক পরিকল্পনাকারীরা বলেছেন, তাদের বাহিনী ইভানো-দারিভকা, বাখমুত এবং জাইতসেভোর আশেপাশে মুষ্টিমেয় কিছু বসতি পুনরুদ্ধার এবং রাশিয়ার আক্রমণাত্মক অভিযান প্রতিহত করেছে।

তারা বলেছে, আভদিইভকা এবং ক্রাসনোহরিভকার চারপাশে ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর, রাশিয়া তার বাহিনী প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে।