মূদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২৩ | আপডেট: ৭:০১:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২৩

মোহাম্সুমদ শাহজাহান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান:

 

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেছেন, অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। আমি কেন সরকার প্রধান নিজেও বলেছেন। আমরা সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছি। প্রধান সমস্যা হল মূদ্রাস্ফীতি। এ কারণে জিনিস পত্রের দাম বেড়েছেম এটা কমানোর চেষ্টা করছি। আমরা বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। তাদের জন্য যাতে স্বস্তির পর্যায়ে দাম আনা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছি, বিভিন্ন কৌশল করছি। তিনি বলেন, ইতো মধ্যে সামান্য কিছু সাফল্য এসেছে এবং দশমিক দুই শুন্য শতাংশ কমেছে, আরও কমবে।

শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রীর সুনামগঞ্জের শন্তিগঞ্জস্থ নিজ বাস ভবন আরফান আলী মুন্সি হল মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনিএ সব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ মেট্রোরেল চায়,এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চায়,পদ্মা সেতু আরও চায়। সাধারণ মানুষ উন্নয়ন চায় আর সেই উন্নয়ন করতে পারে আওয়ামী লীগ সেটা মানুষ বুঝে গেছে। তাই মানুষকে ভুল বুঝিয়ে লাভ নেই।

রিজার্ভ নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের তিন মাস আমদানি আনার মতও সংস্থান আছে। এ ব্যাপারে পন্ডিত আইএমএফ ঢাকায় ঘুরাঘুরি করছে। তারা বলছে কি ভাবে কি করতে হবে। আমরা যে ভাবে অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে যাই ঠিক একই ভাবে অর্থনীতিতে পন্ডিতদের পরামর্শ নিয়েই আমরা কাজ করছি। তার বলছে কি ভাবে কি কাজ করতে হবে।

সুনামগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, সুনামগঞ্জে রেল লাইন আনা হবে। সুনামগঞ্জের গোবিন্দগঞ্জ থেকে ধারণবাজার, জাউয়াবাজার হয়ে আসবে। আমার প্রয়োজনে না। মানুষের প্রয়োজনে আনতে হবে। এখান থেকে নেত্রকোনা পর্যন্ত রেল লাইন যাবে। আমি যদি আবার আমার জায়গায় আসতে পারি টুরিস্টদের জন্য এবং আমাদের অর্থনৈতিক প্রয়োজনে আমাদের লোকজন চলাচলের জন্য ছোট রানওয়ে করতে চাই। যাতে তারা টাগুয়ায় আসতে পারেন। এটা এতো বড় পরিসরে ঢাকা বা চিটাগাং-এর মত হবে হবে না। ছোট পরিসরে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইবও এটি করে দেয়ার জন্য।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, যুক্তরাজ্য শ্রমিক লীগের সভাপতি ড. সামছুল হক চৌধুরী প্রমুখ।