তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ কুলাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর তানভীর আহমদ শাওন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে প্রশাসনের কাছে সুবিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুলাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর আহমদ শাওন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরস্থ এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আত্মসম্মান ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে সুবিচার কামনা করেন শাওন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাউন্সিলর শাওন বলেন, ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ইয়াছমিন সুলতানার সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী বিয়ের স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দিয়েছে। এতে তাদের দাম্পত্যকলহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তিনি ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ইয়াছমিন সুলতানাকে তালাকপত্র পাঠান। তালাক কার্যকরের প্রায় দুইমাস পর ইয়াছমিন সুলতানা তার পৌরসভাস্থ উত্তর মাগুরা এলাকার বাসায় পুলিশ সঙ্গে নিয়ে জোরপূর্বক ঢোকে দখলের চেষ্টা করে। এ সময় তিনি বাধা দিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তার উপর হামলা চালায় তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যে শাওন বলেন, তালাকের পর তার নামীয় ইনসিওরেন্স চেক রিসিভ করে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে ইয়াছমিন পূবালী ব্যাংক কুলাউড়া শাখায় জমা দিয়ে দেড় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করে। পরে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গত ১৩ ও ১৪ আগস্ট তার বাসায় আবারও প্রবেশের চেষ্টা করলে তিনি তাতেও বাধা দেন। এ বিষয়ে ১৬ আগস্ট মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি মামলা দায়ের করে আইনি সহায়তা চেয়ে ১৭ আগস্ট পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাওন আরও বলেন, পুলিশ সুপারের কাছে আইনি সহায়তা চাওয়ায় ১৭ আগস্ট রাতে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কুলাউড়া থানায় তার বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন নেন। শাওন তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মিথ্যা ও হয়ারনিমূলক মামলার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে সুবিচার কামনা করেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর শাওনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ইয়াছমিন সুলতানা বলেন, তিনি মামলা দিয়ে কোনো হয়রানি করছেন না। শাওন তার উপর অত্যাচার করছে জানিয়ে ইয়াছমিন বলেন, তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।