সরকারী সড়কে দিয়ে গরু নিয়ে যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪ | আপডেট: ১০:১২:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নে সরকারি সড়ক দিয়ে বড় শেওড়ার ৬০ পরিবার কে হাওরে গরু নিয়ে যেতে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে ছোট শেওড়া গ্রামের বাসিন্দা আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলী হায়দারের বিরুদ্ধে।

গতকাল বুধবার জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন বড় শেওড়া গ্রামবাসী । গ্রামের ২৫ সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও তাদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছোট শেওড়া ও বড় শেওড়া গ্রামবাসীর চলাচলের সরকারি সড়ক দাওরাই- পাঠকুড়া- শেওড়া- রমাপতিপুর সড়ক দিয়ে যুগ যুগ ধরে দুই গ্রামবাসী বাহারআলম ও ভেতরআলম হাওরে গরু চড়াচ্ছেন। হঠাৎ করে ছোট শেওড়া গ্রামের বাসিন্দা আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলী হায়দার বড় শেওড়া গ্রামের ৬০ পরিবারকে এ সড়ক দিয়ে হাওরে গরু নিয়ে যেতে বাধা দেন। এ গ্রামে ৫০ পরিবার রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের এবং ১০ পরিবার রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের।
বড় শেওড়া গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন জানান,ছোট শেওড়া ও বড় শেওড়া গ্রামে হিন্দু মুসলমান মিলিয়ে ৩৫০ পরিবারের বসবাস। তাঁর মধ্যে বড় শেওড়া গ্রামে ৫০/৬০ পরিবারের বসবাস। তিনি বলেন, আমরা এক পঞ্চায়েতে সামাজিকতা রক্ষা করে আসছি। আমাদের গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কে সড়ক দিয়ে গরু নিয়ে যেতে বাধা দেয়ায় আমরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। তাই তাদের সাথে আমরাও গরু নিয়ে যাচ্ছি না।
বড় শেওড়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল সরকার বলেন, আমরা দরিদ্র পরিবারের মানুষ গরু ছাগল হাঁস মুরগী পালন ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। হঠাৎ করে আমাদেরকে সরকারি সড়ক দিয়ে গরু নিয়ে যেতে বাধা ও হুমকি প্রদান করায় আমরা ভীতিকর অবস্থায় রয়েছি। প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
ছোট শেওড়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লেবু মিয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও তাঁর আত্বীয় স্বজন মিলে গরু নিয়ে যেতে নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কে বাধা দিচ্ছেন। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলী হায়দার বলেন, এ সড়কটি সরকারি ও মালিকানা জায়গার ওপর নির্মিত। গ্রাম বাসীর টাকায় মাটি কেটে সড়ক নির্মাণ করা হয়। গরুর পাল গেলে সড়কটি নষ্ট হয়ে যাবে তাই গ্রামবাসী গরুর পাল না নিয়ে যেতে অনুরোধ করেছেন।
আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব খান বলেন, সরকারি সড়কে যাতায়াতে বাধা দেয়া ঠিক নয় আমি বিষয়টি জেনে সামাজিকভাবে নিস্পত্তির চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু বাধাপ্রদানকারীরা না মানায় সমাধান হয়নি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম বলেন,সরকারি সড়কে বাধা দেয়ার সুযোগ নেই।
লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।