
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক গৃহবধূর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি মামলায় সাবেক প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত হলেন, বাড়ি জগন্নাথপুর (মুন্সিপাড়া) গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে ছয়ফুর রহমান (২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, মামলা দায়ের পর থেকে আসামি পলাতক ছিল। বুধবার রাতে আসামিকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৪ বছর আগে অভিযুক্ত ছয়ফুর রহমানের সঙ্গে ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূর প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সময়ে অভিযুক্ত প্রেমিক তাদের কিছু অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি এবং ভিডিও ধারন করে রাখে। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর প্রেমিকার অন্যত্রে বিয়ে হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূ এক ছেলে সন্তানের জননী।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই অভিযুক্ত সাবেক প্রেমিক ওই গৃহবধূকে ফোন করে শারিরিক সম্পর্কে জন্য চাপ দেয়। অন্যথায় টাকা দাবি করেন আর তা না করলে ধারণকৃত ওই অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হন। কিন্তু অভিযুক্ত আবার সেই মূহুর্তের ভিডিও ধারণ করেন। সর্বশেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত ছয়ফুর রহমান ওই গৃহবধূকে ফোন করে তার সাথে শারিরিক মিলামেশার জন্য বললে; তিনি রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ওই গৃহবধূ আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও পোষ্ট করেন। এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূ সুনামগঞ্জ আদালতের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ছয়ফুর রহমানের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ২১ এপ্রিল জগন্নাথপুর থানায় মামলাটি রুজু হয়। মামলার বাদি ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূ জানান, স্বামীর সংসার রক্ষা ও লোক লজ্জার ভয়ে একাধিক বিষয়টি আপোষে মিমাংসার চেষ্টা করেছি। সে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবুও তার কাছ থেকে আমি রেহাই পাইনি। তাই এখন বিচার পেতে মামলা করেছি।