
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ঘনিয়ে আসার শেষ বেলায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে।
গতকাল বুধবার উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর পৌরশহরের হেলিপ্যাড এলাকায় এবারের ঈদের শেষ হাট বসে। হাটে কানায়কানায় ছিল কোরবানির পশু। এদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাটের নির্ধারিত এলাকায় ছেড়ে শহরের প্রধান সড়ক জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের দুইপাশে কানায় হাট ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দিনভর মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন জনসাধারণ।
জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী ফয়জুর রহমান জানান,মহাসড়কের ব্যস্ত সড়কে পশুর হাট বসিয়ে পৌর কতৃপক্ষ নাগরিক দুর্ভোগ তৈরি করেছেন। সামান্য রাজস্ব আদায়ের জন্য এমন দুর্ভোগ কাম্য নয়। তিনি আগামীতে মহাসড়কে পশুর হাট না বসিয়ে অন্যত্র বসানোর দাবি জানান।
সরজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় হেলিপ্যাড থেকে শুরু হয়ে জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-ঢাকা আঞলিক মহাসড়কের ছিলিমপুর ষ্টেট থেকে শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মোড় পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে পশুর হাট। এবার বাজারে দেশি গরুর একক প্রভাব দেখা গেছে। খামারিদের পশু আর কৃষকের গোয়ালঘরের গরুমি ছিল পরিলক্ষিত হয়েছে। গবাদিপশুর পাশাপাশি ছাগল ও ভেড়াও হাটে দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার হাটে দাম বেশি। বিক্রেতারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলছেন, ন্যায্য দামেও বেচাবিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের প্রচণ্ড চাপ থাকলেও ক্রয়বিক্রয় কম হচ্ছে এবার।
হাটে আসা অলিদ মিয়া নামের এক ক্রেতা জানালেন, গত বছরের চেয়ে এবার দর একটু বেশি। এখনও গরু কেনা হয়নি। দামদর যাছাই বাছাই করছি।
মুজিবুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা জানান, অন্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশিই মনে হচ্ছে। মাঝারি সাইজের একটি গরু কিনেছি ৯০ হাজার টাকায়। তবে এবার আসিল ফি নিয়ে ঝামেলা নেই। আসিলের নির্ধারিত টাকা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার কচুরকান্দি এলাকা থেকে ইসমাইল মিয়া নামের এক খামারি তাঁর নিজ খামার থেকে ১০টি গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভির থাকলেও বেচাবিক্রি হচ্ছে। আমরা ন্যায্য দামেই বিক্রি করছি।
পৌরএলাকার কেশবপুরের কৃষক করাছ মিয়া বলেন, ৪টি গরু নিয়ে সকালে হাটে এসেছি। এখনও বিক্রি হয়নি একটিও। চাহিদা অনুয়ারি দাম মিলছে না।
হাটের ইজারাদার জুবায়ের আহমদ ভূঁইয়া বলেন, শেষ মুহুর্তে হাট জমে উঠেছে। সরকার নির্ধারিত আসিল ফি নেওয়া হচ্ছে। গতকাল কোরবানির শেষ হাট হওয়ায় হাটের নির্ধারিত স্থানপূর্ণ হয়ে মহাসড়কে ছড়িয়েছে। জনদুর্ভোগ কমাতে আমাদের নিজের লোকজন সড়ক শৃঙ্খলায় কাজ করছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরকত উল্লাহ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার জগন্নাথপুরে পশুর হাটের সংখ্যা কমেছে। এবছর দুই টি স্থায়ী ও একটি মাত্র অস্থানীয় হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। অন্যবছর ছিল মোট ৯টি। তিনি বলেন, মহাসড়কে কেউ হাট বসালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।