জগন্নাথপুরে স্ত্রী হত্যার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলেন স্বামী!

প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ | আপডেট: ৮:৫২:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৌদিপ্রবাসী মেয়ের টাকা পাঠানো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দা ও করাত দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ রবিবার সকালে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, জগন্নাথপুরের রানীনগর গ্রামের নুর মিয়ার মেজো মেয়ে সীমা বেগম বছরখান ধরে সৌদিতে শ্রমিকের কাজ করছে। তিনি বিদেশ থেকে তার মায়ের কাছে টাকা পাঠাত। এ নিয়ে স্বামী নুর ও স্ত্রী আছিয়া বেগমের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বাঁধে। আজ সকালেও তাদের মধ্যে এ নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পযার্য়ে স্বামী নুর মিয়া স্ত্রী আছিয়া বেগমকে (৫০) দা ও করাত দিয়ে গলায় আঘাত করে। আছিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে দৌড়ে বাহিরে বের হয়ে মাটিতে পড়ে যান। এসময় স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী নুর মিয়া স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর হোসেন জানান, হাসপাতালে তিনি আসের আগেই ওই নারী মারা গেছেন।

স্থানীয় পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া জানান, সৌদিতে অবস্থানরত মেয়ের টাকা পাঠানো নিয়ে অনেকদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার সময় বাড়ীতে শুধু স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। নুর মিয়ার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ ও জগন্নাথপুর থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃরিত দা ও করাত উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।