শিউলী আচার্য্য মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ | আপডেট: ১২:৫৪:পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০২৩ এ জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ।

কুলাউড়ার রাঙ্গীছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিউলী আচার্য্য ।

জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচত হওয়ায় শিউলী আচার্য্য এক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, জেলায় শ্রেষ্ঠ হওয়া মানে ভালো কাজের স্বীকৃতি দেওয়া। এই স্বীকৃতি-সম্মান আমার পেশাগত দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। বিশেষ করে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আমাকে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত ও বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সার্বিক সহযোগিতায় পাশে রয়েছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট থেকেও প্রধান শিক্ষকসহ যারা আমাকে প্রেরণা ও উৎসাহ দিয়েছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

শিউলী আচার্য্যকে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে ঘোষণা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ড. ঊর্মি বিনতে সালাম এবং সদস্য সচিব ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. খোরশেদ আলম।

এর আগে শিউলী আচার্য্য কুলাউড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত হন।
শিউলী আচার্য্য জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। শিক্ষিকা শিউলী আচার্য্যর এ সাফল্য জাতীয় পর্যায়েও অব্যাহত থাকুক এ কামনা করেছেন শিক্ষা বিভাগ সহ কুলাউড়া বাসি সবাই।

শিউলী আচার্য্যর বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাজীপুর চা- বাগানে। তিনি কুলাউড়া উপজেলার লক্ষিপুর মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশিষ কুমার আচার্য্যর স্ত্রী।

তিনি ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে প্রথম যোগদান করেন কুলাউড়া উপজেলার রাঙ্গীছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিউলী আচার্য্য মৌলভীবাজারের জেলায় ১১-১২ শিক্ষাবর্ষ সি ইন এড প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।দ্বিতীয শ্রেণিব বাংলাবই পর্যালোচনা করে মতবাদ দেন, কাজের লোক কবিতার নাম পরিবর্তন করে “কাজের আনন্দ ” করলে যথার্থ মূল্যায়ণ পাবে এতে ২০১৩ সালে নাম পরিবর্তন হয়ে আসে। জাতীয় শিক্ষাপদক প্রতিয়োগিতায় ২০১২ তে আন্ত পিটি আই তে ৩ টি সংগীতে অংশ গ্রহণ করে প্রথম হন। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে অনলাইন ক্লাস পরিচালনাসহ উপজেলা ও নিজ বিদ্যালয়ে ক্লাস পরিচালনা করেন।

২০০৬ সাল থেকে রেডিও বেতারের একনজন শিল্পী হিসেবে গান করে আসছেন।

তিনি ছোট বেলা থেকে সৃজনশীল কাজের প্রতি আগ্রহ,গান, নাচ, কবিতা,অভিনয় করতে পছন্দ করেন ।শিক্ষার্থীদের
বিভিন্ন কৌশলে পাঠদানে ১ম শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনীসহ প্রাথমিকের ক্লাস নিয়ে ফেইসবুকে একটি পেইজ খুলেছেন যাতে শিক্ষাথীদের সহজ শিখন কৌশল শিখার সহজ প্রন্তা হয়েছে।তিনি
নিজে কবিতা , ছড়া,লিখেন ছোট বেলা থেকেই।