নিখোঁজের ১৮ দিন পর ফিরল প্রেমিক যুগল, ধর্ষণের অভিযোগে যুবক কারাগারে

প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪ | আপডেট: ১১:৩৮:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ১৮ দিন পর ফিরে এসে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছে প্রেমিককে।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানায় ওই প্রেমিকার মা বাদী হয়ে প্রেমিক রাসেল আহমদের (২৩) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন (অপহরণ ও ধর্ষণ) আইনে মামলা করেন।

পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত রাসেল জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবনগর এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত রাসেল আহমদ কেশবপুর এলাকার ৮ম শ্রেনির এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার ১৮ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত রাসেল ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। পরে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত রাসেলসহ ওই স্কুল ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে ওই স্কুল ছাত্রীর দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খানম সাথী বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ওই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ১৮দিন পর ফিরে আসায় স্থানীয়দের ভয়ে মেয়ের মা তাঁদেরকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসনে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাঁদের নিয়ে যায়।

তবে প্রেমের বিষয়টি অস্বীকার করে মামলার বাদী ওই স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, ছেলেটি আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায় উত্ত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ওই ছেলেকে আমার মেয়ের সাথে এমন আচরণ করতে বারন করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করে। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার পর জানতে পারি; রাসেল আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। তাই আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করায় আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ভিকটিমকে (ওই স্কুল ছাত্রী) চিকিৎসকের পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।