সুনামগঞ্জ-৩ আসনে মালেক খান কে চূড়ান্ত তালিকায় সদয় বিবেচনা করুন —এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী
১৯৭১ খ্রীঃ ২৬ মার্চ গভীর রাতে তৎকালীন মেজর জিয়ার মহান স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারিত হয় চট্টগ্রামের কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। মালেক খান নিজ কানে সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা শুনে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি ৫ নং সেক্টর এর অধীন বালাট সাব সেক্টরের রণাঙ্গনে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করেন এবং সম্মুখ যুদ্ধে মর্টারশেল স্প্লিন্টারের আঘাতে মারাত্মক আহত হন। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের সময় তিনি খন্ড কালীন সময়ে বালাট সাব সেক্টরের সি কোম্পানীর “কোম্পানী কমান্ডার” এর দায়িত্ব পালন করে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। মালেক খান মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী’র অসাধারণ স্মৃতি রক্ষার্থে “বঙ্গবীর ওসমানী গবেষণা ইন্সটিটিউট” এর চেয়ারম্যান এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে “বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন” (সরকার অনুমোদিত) এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৭৮ খ্রীঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তৎকালীন সিলেট জেলার প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর হাত ধরে। সেই থেকে শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি এবং বিএনপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির আদর্শ বুকে ধারণ করে আজো অবিরাম বৃহত্তর সিলেট জেলা, সিলেট মহানগর, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য, সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা দল এর সভাপতি (বর্তমান), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ছাড়া ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী ২০০৭ খ্রীঃ এর ১/১১ সহ জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি মুক্তিযোদ্ধা দলের গুরুতর সংকটকালে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দল এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দলের কান্ডারীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। গণতন্ত্রের মাতা তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, বিএনপির মাননীয় চেয়ারপার্সন মিথ্যা ষড়যন্ত্র মামলায় কারানির্যাতিত আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা জনাব তারেক রহমানের ঐতিহাসিক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ দফা প্রচার ও তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দলের সকল পর্যায়ের কর্মসূচি পালনে জীবনবাজি রেখে মাঠে ময়দানে এবং এলাকার সর্বসাধারণের দুঃখে সুখে পাশে রয়েছেন মালেক খান।
বিগত ১৭ বছর ধরে দলীয় সকল কর্মসূচি পালন সহ সিলেটের ঐতিহাসিক আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেট বিভাগীয় গণ মহাসমাবেশ ও তারুণ্যের সিলেট মহাসমাবেশ, ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশে গোলাপবাগ মাঠে ঢাকার বিভাগীয় গণ মহাসমাবেশ সহ ২৮ অক্টোবর এর ঢাকা মার্চ
নয়া পল্টনের ঐতিহাসিক মহাসমাবেশে মালেক খান এর অংশ গ্রহন তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ইতিহাস হয়ে র’বে।
স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার আমলে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মামলার শিকার হয়েছিলেন মালেক খান। বাসায় তাঁকে না পেয়ে আওয়ামী স্বৈরাচারের পেটুয়া বাহিনী তল্লাশির নামে তাঁর বাসার মূল্যবান জিনিস আসবাবপত্র ট্রাক ভর্তি করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। প্রায় ৭ বছর যাবৎ কোর্ট কাছারিতে হাজিরা দিতে দিতে ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রীঃ রাষ্ট্র পক্ষের মিথ্যা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মালেক খান বেকসুর খালাস পান।আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পর পর দুইবার তাঁর সিলেট মহানগর এর শাহজালাল উপশহর এর বাসা বাড়ি ন্যাক্কারভাবে ভাংচুর চালায়। এসময় বাসায় রক্ষিত তাঁর দুইটি গাড়ী ও ভাংচুর করে।
ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকার বারিধারাস্থ বাড্ডা থানাধীন নুরের চালা এলাকায় ১২ শতকের মধ্যে মালেক খান এর নিজ নামীয় বাসাটি দখল করে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর কার্যালয়ের সাইন টাঙ্গিয়ে দেয়। এব্যাপারে বাড্ডা থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আওয়ামী দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের ভয়ে মামলা রুজু করতে অস্বীকৃতি জানায়। অনন্যোপায় হয়ে মালেক খান তাৎক্ষণিকভাবে নয়াপল্টনের বিএনপি অফিসে গিয়ে বিএনপি’র মাননীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাহেবকে ঘটনার বিস্তারিত বিষয়টি সচিত্র অবস্থা তুলে ধরলে, তিনি শান্তনা দিয়ে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলেন এবং সুযোগ মতো জাতির সামনে তুলে ধরার আশ্বাস দেন।
২০২৪ শে জুলাই ছাত্র জনতার চুড়ান্ত বিপ্লবে বিজয়ের পূর্ব মূহুর্তে দখলকৃত বাসাটি ভাংচুর করে পালিয়ে সন্ত্রাসীরা আত্মগোপন করে। জমি সহ বাড়িটির বর্তমান আনুমানিক মূল্য ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা। তবুও বিএনপির এই নিবেদিতপ্রাণ কর্মী মালেক খান জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজনীতির আদর্শ থেকে বিন্দু পরিমাণ সরে যান নাই – ভবিষ্যতে ও যাবেন না এটাই বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খান এর দৃঢ় অঙ্গীকার।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, লেখক – সাংবাদিক ও কলামিস্ট, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এর অনুমোদিত প্রবীণ গীতিকার জনদরদী মালেক খান বৃহত্তর সিলেট সহ এলাকার মানুষের আজো হৃদয়ের স্পন্দন।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সুশিক্ষিত ভদ্র-মার্জিত স্বভাবের অধিকারী জনাব মালেক খান উপমহাদেশের বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর UOTC (বর্তমান BNCC) ব্যাটেলিয়ানের ১৯৭৮ সালের “শ্রেষ্ঠ ক্যাডেট” খেতাব অর্জন করেন। যা দেশ এবং জাতির জন্য গৌরবের বিষয়। স্থানীয় এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যার পদচারণা অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং দৃষ্টান্তমূলক।
১৯৮৬ খ্রীঃ বাংলাদেশ থেকে সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দল লন্ডনের “রয়েল আলবার্ট” হলে ‘সেইভ দ্যা চিলড্রেন ফান্ড’ (Save the Children Fund) আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রিন্সেস এ্যান এর আমন্ত্রণে এই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল “ইনার লন্ডন এডুকেশন অথোরিটি” ILEA এবং সহযোগিতায় ছিল বৃটেনস্থ বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পী আব্দুস ছালিক এর প্রতিষ্ঠিত “দিশারী শিল্পী গোষ্ঠী”। বাংলাদেশের এই ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দল এর নেতৃত্বে ছিলেন সুনামগঞ্জ তথা সিলেটের কৃতিসন্তান প্রখ্যাত বেতার এবং টেলিভিশন’র গীতিকার এম এ মালেক খান।
উল্লেখ্য যে, এই রাজকীয় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে গীতিকার মালেক খান এর লেখা গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার খন্দকার নুরুল আলম এর সুরে প্রয়াত বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতজ্ঞ সুবীর নন্দীর কন্ঠে এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী মো. আব্দুল জব্বার, প্রখ্যাত নজরুল গীতি শিল্পী ফেরদৌসআরা, শিল্পী মান্না হক, শিল্পী আব্দুস ছালিক, সাবির আহমেদ রলেক, আব্দুস ছাত্তার, শিল্পী ফারজানা ছালিক শাপলা, আলমনা জলিল, উচ্ছল ছালিক ও সচ্ছল ছালিক ছাড়াও গানটির গীতিকার মালেক খান। (কন্ঠ শিল্পীদের নাম উল্লেখ না করলে বিবেকের নিকট দায়ী হতে হবে)। এসময় সাংস্কৃতিক টিম লীডার জনাব মালেক খান কে ইষ্ট লন্ডনের টাওয়ার হামলেটস্ এর ঐতিহ্যবাহী ‘ব্র্যাডি সেন্টার’ (BRADY CENTRE) প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ লেবার সরকারের মাননীয় মন্ত্রী পিটার শো, এক্টিং বাংলাদেশ হাই কমিশনার মো. আতাউর রহমান, ব্যারিস্টার আশিক আলী, বাংলাদেশী কমিউনিটি লিডার সুহেল আজিজ এবং প্রবীণ কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট তাসাদ্দুক আহমেদ এমবিই প্রমুখ।
১৯৯৬ খ্রীঃ ফেব্রুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মালেক খান বিএনপির দলীয় মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাৎকার দেন, আবার একই বছর জুন মাসে অনুষ্ঠিত বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাৎকার দিলে প্রতিবারই বয়স কম এর অজুহাতে পার্লামেন্টারি বোর্ড মালেক খান কে বাদ দিয়ে দুইবারই বহিরাগত প্রার্থীকে সুনামগঞ্জ -৩ আসনে মনোনয়ন দেয়া হলে নির্বাচনের ফলাফল ভরাডুবি হয়।
বিএনপির ত্যাগী নেতা মালেক খান ব্যক্তির চেয়ে দল বড় মনে করে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত কে শ্রদ্ধাভরে বার বার মেনে নিয়েছেন।
২০০১ খ্রীঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় হাই কমান্ড এর নির্দেশে সিলেটের কৃতি সন্তান অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান সাহেব দলের পরীক্ষিত ত্যাগী মালেক খান কে ডেকে এনে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির দলীয় ধানের শীষ এর এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। যথারীতি মালেক খান মহানগর বিএনপির তৎকালীন সভাপতি মরহুম এহিয়া রেজা চৌধুরী সহ দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সহকারে ২০/২৫ টি গাড়ির বহর নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর নিকট মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাচাই বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হওয়ার পরদিন ঢাকায় হাওয়া ভবনে মালেক খান কে ডেকে নিয়ে ইসলামী ঐক্য জোট এর কারণে আসন টি ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন। মালেক খান দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে আবারো সম্মান দেখিয়ে ছাড় দেন। কিন্তু আর কত?
উল্লেখ করা আবশ্যক যে, ২০০৫ এবং ২০০৬ খ্রীঃ সিলেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিএনপির তৃণমূল সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে এবং তৃণমূল ছাত্রদল সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে বৃহত্তর সিলেট ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হিসেবে উভয় অনুষ্ঠানের শুরুতই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত এবং মোনাজাত পরিচালনা করে সিলেটের বিএনপির রাজনীতিতে অভূতপূর্ব ইতিহাস সৃষ্টি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খান। ঐতিহাসিক উক্ত দুইটি সম্মেলনে স্বগৌরবে উপস্থিত ছিলেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বিএনপির মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার মজলুম জননেতা জনাব তারেক রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী সিলেটের কৃতি সন্তান এম. সাইফুর রহমান। উভয় অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন বার বার নির্বাচিত এমপি জননন্দিত কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী (বর্তমানে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার এর আমলে গুমের শিকার) এবং তৎকালীন যুবদল এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি বর্তমানে বিএনপির মাননীয় যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ঐতিহাসিক উভয় প্রতিনিধি সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির উল্লেখযোগ্য কয়েক ডজনখানেক মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, ২০০৭ খ্রীঃ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড বিএনপি নেতা মালেক খানকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনুমতি প্রদান করায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েকদিন আগে অর্থাৎ ২০০৭ এর ১/১১ হঠাৎ সামরিক আইন জারি করে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এসময় ও মালেক খান কে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।
স্মরণ করা যায় ২০০৭ এর ১/১১ পরে অবৈধ সামরিক শাসক কর্তৃক বিএনপির রাজনীতির উপর ষ্টীম রোলার চালানো হয়, ফলশ্রুতিতে বিএনপি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে তৎকালীন বিএনপির মাননীয় মহাসচিব এ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সারাদেশের ন্যায় বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এম এ মান্নান এর নেতৃত্বে সিলেট বিএনপির তৃণমূল সাংগঠনিক কমিটি করা হয়। উক্ত সিলেট বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটিতে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দল এর সহ সভাপতি হিসেবে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খান কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উক্ত সাংগঠনিক কমিটি সিলেট,সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ সফর করে জেলার তৃণমূল বিএনপির নেতা কর্মীদের পুনরায় উজ্জীবিত এবং সচল করে তুলতে সক্ষম হয়। বিএনপির এই ক্রান্তিকালে দলটিকে পুনর্গঠনে তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকা জাতীয়তাবাদী রাজনীতির নেতাকর্মীবৃন্দ চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবেন বলে ত্যাগী নেতা মালেক খান মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন।
পরোপকারী, আর্ত-মানবতাবাদী জনদরদী মালেক খান “জনসেবা” কে ইবাদত মনে করেন। তাই আমৃত্যু মানুষের সেবা করে যাবেন এটাই তাঁর জীবনের দৃঢ় অঙ্গীকার।
২০০৪ খ্রীঃ তিনি পবিত্র হজ্জব্রত পালন করেন। ২০১৮ খ্রীঃ পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে মাদিনা মনোয়ারায় মসজিদে নববীতে পবিত্র রমজান মাসের এ্যায়েতেকাফ পালন এবং নবীজীর রওজামুবারক জিয়ারত করা তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় বলে তিনি মনে করেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ -৩ আসনটি ধরে রাখার জন্য বিএনপির দলীয় ধানের শীষ এর এমপি চুড়ান্ত মনোনয়ন পুনরায় বিবেচনা করার নিমিত্তে দলের হাই কমান্ড এর নিকট মালেক খান আকুল আবেদন জানিয়েছেন। একই সাথে দেশবাসী সহ তাঁর নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছেন- ওলিকুল শিরোমণি মজরদ ইয়ামনী হযরত শাহজালাল রহঃ এবং হযরত শাহপরাণ রহঃ সহ ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সঙ্গী হাজী শাহ সামস্ উদ্দিন বিহারী রঃ এর উত্তরসুরী আলহাজ্ব এম এ মালেক খান।
Cell Number : +88 01715 018 698
NID No. 1913495931
Email : malekkhan27@yahoo.com
তাঁর পিতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আলহাজ্ব আশরাফ উদ্দিন খান এবং মাতা ধর্মীয় শিক্ষিকা মরহুমা আলহাজ্ব সাইফুল নেছা খানম। জনাব মালেক খান ৭ ভাই বোনের মধ্যে তৃতীয় সন্তান। জনাব মালেক খান এর সহধর্মিণী গাজী মনোয়ারা মালেক খান একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। তিনি ৩ সন্তানের জনক। বড় মেয়ে ডাক্তার মমি রুহানী খান যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত, একমাত্র পুত্র সন্তান ব্যারিস্টার এম. ইসহাক আজমী খান যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় নিয়োজিত, কনিষ্ঠ মেয়ে সুন্নী জাহান খান যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
তিনি কায়মনোবাক্যে মোনাজাত করেন মহান দয়ালু আল্লাহ পাক যেন আমাদের সকলের সহায় হোন- আমীন।

