বিমানের দুই কর্মচারীসহ ৪ জনের স্বর্ণের মামলায় দণ্ড

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২২ | আপডেট: ৩:৩৩:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২২

প্রায় চার বছর আগে হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোয়া ৯ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় বিমানের দুই কর্মচারীসহ চার জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিলকিছ আক্তার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমান ফ্লাইট ক্যাটরিং সেন্টার (বিএফসিসি) এর পেন্ট্রি ম্যান খন্দকার রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলাম এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য ইফতারুল আলম সরকার ও রিয়াজ ওরফে আমজাদ।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী গোলাম নবী।

রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা দুই আসামি রুহুল আমিন এবং শাহিনুর ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণা শেষে চার আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০১৮ সালের ১৫ মার্চ হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিমানের টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯ কেজি ২৮০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টমস হাউস। তখন এর বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ ঘটনায় রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলামকে আটক করা হয়। পরে কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রিভে.) এম এস রিমন আল-রাফি বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলাম ডিউটিরত অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের জেদ্দা-সিলেট হয়ে ঢাকাগামী বিজি২৩৬ এ ক্যাটরিং এর কাজের উদ্দেশ্যে বিমানের ভিতরে প্রবেশ করে। টয়লেটের মধ্যে টিস্যু বক্সে রক্ষিত কালো স্কচটেপ মোড়ানো চারটি রোল থেকে তারা দুইটি করে জামার মধ্যে লুকিয়ে বিমান থেকে বের হয়ে খাবারের ট্রেতে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে কাস্টম কর্তৃপক্ষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বর্ণ উদ্ধার করে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৮ জুলাই চার জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।