বাংলাদেশে সুখ বেড়েছে, জানালো ‘হ্যাপিনেস রিপোর্ট’

প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২২ | আপডেট: ১:৩৯:অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২২

করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশে সুখ বেড়েছে। আর এ সুখের খবর দিয়েছে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট। এ বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালে সুখ বেড়েছে বাংলাদেশের মানুষের মনে।

 

২০ মার্চ বিশ্ব সুখ দিবস সামনে রেখে শুক্রবার দশম বারের মতো প্রকাশিত এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন)। এতে বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় সাত ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

 

২০২২ সালের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৪তম। গত বছর এ তালিকায় ১০১তম ছিল দেশটি। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ছিল ১০৭তম আর ২০১৯ সালে ১২৫তম।

 

না পঞ্চমবার সবচেয়ে সুখী দেশ নির্বাচিত হয়েছে ফিনল্যান্ড। বার্ষিক এই প্রতিবেদনে এ বছর ১৪৬টি দেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশগুলোর মানুষকে বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের সুখ পরিমাপ করা হয়েছে।

 

আর সুখের পরিমাপক হিসেবে দেশটির সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, সামাজিক উদারতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, জিডিপি, গড় আয়ু এবং দুর্নীতির মাত্রা বিষয়গুলোকে সামনে রাখা হয়। এতে শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত পয়েন্ট দিয়ে সুখের পরিমাণ বোঝানো হয়েছে।

 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি সুখে আছে নেপাল। দেশটির স্কোর ৫ দশমিক ৩৭৭। এ তালিকায় পাকিস্তান ৪ দশমিক ৫১৬ স্কোর নিয়ে ১২১তম, ৪ দশমিক ৩৯৪ স্কোর নিয়ে মিয়ানমার ১২৬ তম, ৪ দশমিক ৩৬২ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা ১২৭তম এবং ৩ দশমিক ৭৭৭ স্কোর নিয়ে ভারত ১৩৬ তম অবস্থানে রয়েছে।

 

তালিকায় ৫ দশমিক ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ৯৪তম হয়েছে বাংলাদেশ। সূচকে ২ দশমিক ৪০৪ পয়েন্ট নিয়ে এ তালিকার সবচেয়ে অসুখী দেশ আফগানিস্তান। আর পরের চারটি দেশ হলো- লেবানন, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা ও বতসোয়ানা।

 

২০১৮ সাল থেকেই সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানটি দখলে রেখেছে নরডিক দেশ ফিনল্যান্ড। এ বছর তাদের পয়েন্ট ৭ দশমিক ৮২১।

 

শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হলো যথাক্রমে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, নরওয়ে, ইসরায়েল ও নিউজিল্যান্ড।

 

এ বছর তালিকা প্রণয়নের জরিপ শেষ হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে। তাই সুখী দেশের তালিকায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২২-এ ইউক্রেন রয়েছে ৯৮তম এবং রাশিয়া ৮০তম স্থানে।

 

গতবারের চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৬তম। তাদের আগে রয়েছে কানাডা ও পরে যুক্তরাজ্য।