আজ বসছে সংসদের ১৭তম অধিবেশন

প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২২ | আপডেট: ১১:০৬:পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২২
জাতীয় সংসদ,ফাইল ছবি

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশন বসছে আজ সোমবার (২৮ মার্চ)। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ৯ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার এ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হতে পারে। সংক্ষিপ্ত হলেও এ অধিবেশনে বেশ কয়েকটি আইন পাস হতে পারে। সংসদে পাস ও পেশের জন্য সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখায় ১৫টি বিল জমা পড়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বিল কমিটিতে পরীক্ষাধীন, ছয়টি পাসের অপেক্ষায় এবং চারটি উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। সংসদে পাসের অপেক্ষায় থাকা বিলগুলো হলো মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল ২০২১, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিল ২০২১, বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল ২০২১, সরকারি ঋণ বিল ২০২১, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল ২০২১ ও বয়লার বিল ২০২১।

সংসদীয় কমিটিতে পরীক্ষাধীন থাকা বিলগুলো হলো বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল বিল ২০২১, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২২, বাণিজ্য সংগঠন বিল ২০২২, জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল ২০২২ ও স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) বিল ২০২২। সংসদে উপস্থাপনের জন্য সংসদ সচিবালয়ে যে বিলগুলো জমা পড়েছে সেগুলো হলো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বিল ২০২২, পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস বিল ২০২২, বৈষম্যবিরোধী আইন ২০২২ এবং গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল ২০২২।

 

সংবিধান অনুযায়ী, একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন ডাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের ১৬তম এবং বছরের প্রথম অর্থাৎ শীতকালীন অধিবেশন শেষ হয়। এটি ২০২২ সালের দ্বিতীয় অধিবেশন। অধিবেশন কেন্দ্র করে সংসদ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সভা সমাবেশ। সংসদ অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য সংসদ সদস্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীদের করোনা পরীক্ষারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের পর এবারই প্রথম গণমাধ্যমকর্মীদের সরাসরি সংসদ অধিবেশনে সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর আগে করোনাকালের দুই বছরে দু-একটি অধিবেশনে এক বা দুদিনের জন্য গণমাধ্যমকে সংসদ ভবনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে তাদের সংসদ গ্যালারিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়নি। সংসদ ভবনের গণমাধ্যমকর্মীদের নির্ধারিত কক্ষে বসে সংবাদ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এছাড়া দুই বছরের পুরো অধিবেশনগুলো সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের লাইভ সম্প্রচার থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়েছে।

 

সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, দেশে করোনা সংক্রমণ কমে গেলেও আসন্ন এ অধিবেশনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে সংসদ ভবনে প্রবেশে তাপমাত্রা পরিমাপ, মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজ করার বাধ্যবাধকতা থাকবে। তবে প্রতিদিন প্রবেশের জন্য কভিড টেস্টের প্রয়োজন পড়বে না। একদিন করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ হলে পুরো অধিবেশনে প্রবেশ করা যাবে। তবে কেউ চাইলে নিজ উদ্যোগে একাধিকবার পরীক্ষা করাতে পারবে। অবশ্য যেসব সিনিয়র সংসদ সদস্যদের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে তাদের বরাবরের মতো না আসার অনুরোধ করা হয়েছে।