জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে অ্যাপ্রোচের মাটি ধসে গর্ত, যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২২ | আপডেট: ১০:২৫:পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২২

 

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ইছগাঁও নামক স্থানে বেইলি ব্রিজের উত্তর অংশের অ্যাপ্রোচের মাটি ধসে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ওই সড়কে সরাসরি

যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন জনসাধারন।

এলাকাবাসী জানান, পাগলা-জন্নাথপুর-আউশকান্দি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় শতশত যানবাহন চলাচল করে আসছে। হঠাৎ করে বুধবার বিকেল থেকে ওই সড়কের বেইলি ব্রিজের অ্যাপ্রোচের এক অংশের মাটি ধসে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ছুটিতে আসা বিভিন্ন পেশাজীবী ও জনসাধারণ।

জগন্নাথপুর-নারিকেলতলা ইজিবাইক (টমটম) স্ট্যান্ডের সভাপতি আব্দুস শহিদ জানান, বিকেলের দিকে আকস্মিকভাবে জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ সড়কের বেইলি ব্রিজের অ্যাপ্রোচের মাটি ধসে পড়লে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই সেতুর দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

জগন্নাথপুর টু ঢাকা এক বাস পরিবহনের ম্যানেজার রাজিব চৌধুরী বলেন, ওই সেতুর অ্যাপ্রোচের মাটি ধসে গর্ত হওয়া ঢাকার সাথে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিকল্প সড়কে ঢাকা যেতে অতিরিক্ত খরছ ও সময় ব্যয় হবে। দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদের (সওজ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ওই স্থানে আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত ওই স্থান পরিদর্শনকালে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
সকাল থেকে কাজ শুরু করা হবে। আপাতত দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি-ঢাকা আঞ্চলিক এ মহাসড়কে জগন্নাথপুর উপজেলার ইছগাঁও নামক স্থানে বহমান নলজুর নদীর উপর ২০১২ বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ১৩ জুন সেতুটির দক্ষিণ অংশের অ্যাপ্রোচের মাটি ধসে গর্তের সৃষ্টি হয়। একই বছরে ১৩ জুলাই আবার মাটি ধসে একই স্থানে দ্বিতীয় বার গর্তের সৃষ্টি হলে অ্যাপ্রোচে অতিরিক্ত স্টিল দিয়ে মেরামত কাজ করা হয়।