মেয়ের পাঠানো টাকার ভাগ নিয়ে স্ত্রীকে হত্যা. আদালতে স্বীকারাক্তি দিলেন ঘাতক স্বামী

প্রকাশিত: ৯:০৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ | আপডেট: ৯:০৬:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

 

 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৌদিপ্রবাসী মেয়ের টাকা পাঠানো নিয়ে ঝগড়ার কে কেন্দ্রে করে স্ত্রী কে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বামী নুর আহমদ (৬০)।।

আজ সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিমের নিকট এ হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছেন নুর আহমদ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ১০ মাস ধরে সৌদিআরবে গৃহকর্মীর কাজ করছিল নুর আহমদের মেয়ে। প্রথমদিকে তিনি তাঁর বাবার কাছে টাকা পাঠাতেন। চার মাস বাবার কাছে টাকা পাঠান। এরপর থেকে প্রবাসী ওই মেয়ে তাঁর মা আছিয়া বেগমের কাছে টাকা পাঠাতে শুরু করে। আর এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। প্রবাসী মেয়ের পাঠানো টাকার ভাগ নিয়ে গত রবিবার রাত ৩টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে নুর আহমদ দা দিয়ে আছিয়া বেগমের (৫০) গলা কেটে হত্যা করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের নুর মিয়ার মেয়ে সীমা বেগম বছরখান ধরে সৌদিতে গৃহকর্মীর কাজ করছিলেন। তিনি বিদেশ থেকে তার মায়ের কাছে টাকা পাঠান। এ নিয়ে স্বামী নুর ও স্ত্রী আছিয়া বেগমের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বাঁধে। এরই জের ধরে রবিবার ভোরে স্বামী নুর মিয়া স্ত্রী আছিয়া বেগম (৫০) কে দা ও করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এঘটনায় পুলিশ স্বামীকে আটক করে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও করাত পুলিশ উদ্ধার করেছে। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রবিবার রাতে নিহতের ভাই রফিজ উদ্দিন বাদী করে বোন জামাইকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।