কুলাউড়ায় জঙ্গি অভিযান শেষ, কয়েক দফায় অভিজান শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সিটিটিসি

প্রকাশিত: ১১:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৩ | আপডেট: ১১:৪৬:অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৩

 

মোঃ ইব্রাহীম আলী, কুলাউড়া:  মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় আটক জঙ্গিদের দুজনকে নিয়ে কর্মধার কালা পাহাড় এলাকায় নতুন আস্তানা খুঁজতে গিয়ে কাউকে পায়নি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।

১৪ আগষ্ট ২৩ইং সোমবার সকালে কর্মধা ইউনিয়নের আছকরাবাদ বাজার এলাকায় স্থানীয়রা ১৭ জনকে জঙ্গি সন্দেহে আটকের পর রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে সিটিটিসি। তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আটক দুই জঙ্গিকে নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ের গভীরে অভিযানে যায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

সেখান থেকে ফিরে ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, “সোমবার আমরা ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম।

 

 

তখন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার আমাকে কিছু ছবি পাঠান এবং সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ফোন করে বলেন, ‘স্যার দেখেন তো এখানে ওই গ্রুপের কেউ আছে কি না?’ আমি সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দিই। তিনি সেই ছবি দেখেই বলেন, ‘স্যার আমাদের এখনই মুভ করতে হবে। এখানে যারা (আটক) ছিল, তারা তাদের আইডেন্টিফাই করেছে। আমরা যাদের খুঁজছি, আমাদের ওই মামলার যারা আসামি, তাদের মধ্যে কতিপয় ব্যক্তি এখানে আছে।

‘তারপর আধা ঘণ্টার মধ্যে গাড়িতে উঠি. জঙ্গিদের সঙ্গে অন্য কারো কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কি না’ কিংবা এখান থেকে তারা কোনো অপারেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কি না সে সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটিটিসির আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কিছু সময় দেন। আমরা তো তাদের ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদই করতে পারলাম না। আমরা নতুন নতুন লিংক পাচ্ছি।

 

 

সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা কাজ করব। আশা করি, তখন আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব।
আসাদুজ্জামান বলেন, প্রায় চার ঘণ্টার এই অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ২০টির বেশি পাহাড় ডিঙিয়ে ওই আস্তানায় পৌঁছায়। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। জায়গাটি দুর্গম হলেও তারা খুব সহজেই সেখানে যাতায়াত করতে পারত।

জঙ্গিরা এটাকে তাদের ভাষায় ‘আনসার হাউস’ বলে উল্লেখ করে সিটিটিসির কর্মকর্তা বলেন, সেখান থেকে ৯৫টি ডেটোনেটর, ছয় কেজি বিস্ফোরক এবং ১৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাত থেকে কর্মধা পূর্ব টাট্টিওয়ালি গ্রামের বাইশালীবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০ জন নারী-পুরুষ ও তিন শিশুকে আটক করেছিল সিটিটিসি ইউনিট। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী জানিয়েছিল, তারা নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র সদস্য।

সাংবাদিকরা সিটিটিসির কর্মকর্তার কাছে জানতে চান সেখানে দলনেতা ইমাম মাহমুদ আছেন কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বলা যাবে না। অপারেশনের স্বার্থে আমরা অনেক কিছুই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারব না।