শেষ সময়ে জমে উঠেছে পশুর হাট

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২২ | আপডেট: ৬:১৮:অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২২

 

জগন্নাথপুর ( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতির ফলে এবার শুরুর দিকে না জমলেও শেষ সময়ে জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট।
উপজেলার স্থায়ী দু’টি পশুর হাটসহ অস্থায়ী ৮টি হাটে গত কয়েক দিন তেমন একটা মানুষের আনাগোনা না থাকলেও ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা ভিড় করছেন পশুর হাট গুলোতে।

গতকাল শুক্রবার উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, এবার এ হাটে ব্যাপক পরিমাণ দেশী গরু নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। পাশা-পাশি রয়েছে বিদেশী গরুও। তবে দাম বেশি হলেও ক্রেতাদের দেশী গরুর প্রতি চাহিদা রয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, এখন কোরবানির জন্য ভারত, মিয়ানমার, ভূটান থেকে দেশে গরু-মহিষ কম আসছে। ফলে এখন কোরবানির বাজার পুরোপুরি দেশীয় পশু নির্ভর হতে যাচ্ছে। এবার হাট গুলোতে বিদেশী গরুর আসতে না পারায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গরুর পালনকারীরা অধিকলাভবান হবেন। এতে আগামী দিনে গরু পালনে আরো উৎসাহী হবে।
এছাড়া বিক্রেতারা বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু দাম কিছুটা বেশি।

অপর দিকে ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরু ও খাসীর দাম অনেক বেশি। পশুর এমন উচ্চ মূল্যের কারণে অনেক ক্রেতাই হতাশা প্রকাশ করেন।

রসুলগঞ্জ গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পছন্দের পশুটি কিনতে অনেকেই এসেছেন হাটে, কেউ একা এসেছেন, কেউ এসেছেন দলবেঁধে। যেন তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না জগন্নাথপুরের ঐতিহ্যবাহী এ হাটটিতে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের এই উপস্থিতি যেন ঈদ উৎসবেরই অংশ। দাম যাই হোক শেষ পর্যন্ত পছন্দের পশুটি কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেক ক্রেতা, আবার অনেকেই দাম বেশির কারণে কিছুটা অপেক্ষা করার চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। অপরদিকে গো-খাদ্যের সংকট ও পানিবন্দি বাড়িতে গরু রাখার জায়গা না থাকার কারণে অনেক ক্রেতাই এখন গরু কিনছে না। তাদের মতে ঈদের এক দিন আগে গরু ক্রয় করবেন তারা।

গরু ক্রয় করাতে আসা আফিস আলী বলেন, গত বছরের চেয়ে গরুর দাম এ বছর আরও বেড়েছে, গতবার মাঝারী গরু ক্রয় করতে ৫০-৬৫ হাজার টাকা লাগলেও এ বছর সেই গরু ক্রয় করতে ৮৫-৯৫ হাজার টাকা লাগছে।

রসুলগঞ্জ পশুর হাটের ইজারাদার শাহ আব্দুর নুর বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কম গরু বিক্রি হচ্ছে না। এবার গরুর দাম খুব বেশি। তবে দাম হলেও দেশি গরু কিনছেন ক্রেতারা।

এদিকে, হাট গুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরধারীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে হাটগুলোতে জাল নোট ঠেকানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মেশিন রাখা হয়েছে।