চুনারুঘাটে শ্বশুড় বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে আত্নগোপনে থাকা এক ব্যক্তি উদ্ধার

প্রকাশিত: ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২৩ | আপডেট: ১২:৪৬:অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৩
   এফ এম খন্দকার মায়াচুনারুঘাট :


হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়  শ্বশুড় বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে আত্নগোপনে থাকা এক ব্যক্তি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ই মে)বিকালে হবিগঞ্জ জেলা পিবিআই  পুলিশ সুপার  আল মামুন শিকদারের  সার্বিক তত্ত্বাবধানে  মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) আবুল কাশেম এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) আব্দুল আহাদ, এসআই (নিঃ) রিয়াজ উদ্দীন এবং কন্সটেবল শরীফ আহমদ-দের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাত ১টায় সময় কথিত অপহৃত ভিকটিম আব্দুল ছাত্তার কে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেন।
 ভিকটিম কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় প্রায় দেড় বছর পূর্বে আসামী সুলতানা বেগমকে বিবাহের প্রায় ১৫ দিনের মাথায় ভিকটিমের মা সূত্রোক্ত মামলার বাদীনি আয়েশা খাতুন এর সাথে টাকা পয়সা নিয়ে ভিকটিমের ঝামেলা হয়। সেই সূত্র ধরে মায়ের সাথে রাগ করে ভিকটিম তার বউকে নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার ৭নং উবাহাটা ইউনিয়নের বড়কুটা গ্রাম’স্থ আসামী উস্তার মিয়ার বাড়ীতে চলে যায়। সেখানে সংসার চালাতে ভিকটিম আরএফএল কোম্পানী, ওলিপুরে স্বল্প বেতনের একটি চাকুরী নেয়। শ্বশুর বাড়িতে আসার পরে পারিবারিক বিভিন্ন ছোট খাটো বিষয়াধি নিয়ে কলহের জের ধরে স্ত্রীর সাথে ভিকটিমের দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিমের স্ত্রী সুলতানা বেগম ভরণপোষন ও দেনমোহর এর টাকা চেয়ে ভিকটিমের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে বসেন। উপায়ান্তর না পেয়ে ভিকটিম তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলা থেকে বাচার জন্য তার মা অর্থাৎ সূত্রোক্ত মামলার বাদীনির কুপরামর্শে শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে প্রায় ৮ মাস পূর্বে স্বেচ্ছায় নরসিংদী জেলার মাধবদী থানা এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম তার মা কে দিয়ে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন দের বিরুদ্ধে অত্র মামলাটি দায়ের করায়
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ২নং আহম্মাদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরি গ্রাম।
মাতা আয়েশা খাতুনের ছেলে আব্দুল ছত্তার  ওরফে মাসুক (২৮)  (১৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২২) একই উপজেলার ৭নং উবাহাটা ইউনিয়নের বড়কুটা গ্রামের উস্তার মিয়ার মেয়ে সুলতানা বেগম (২০) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের কিছুদিনের মধ্যেই আব্দুল ছত্তারের শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে  স্ব-স্ত্রীক আব্দুল ছত্তারকে তার শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রায় দেড় মাস পূর্বে আব্দুল ছত্তারের সাথে তার মা মোবাইলে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে ছেলের খুজে তিনি বড়কুটা গ্রামে  যান। তখন আব্দুল ছত্তারের শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তাকে জানায় যে তার ছেলে তাদের বাড়ীতে থাকে না। তারা আব্দুল ছত্তারের মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে আব্দুল ছত্তারের মা আয়েশা খাতুন উক্তরূপ অভিযোগ এনে ছেলের সন্ধান পেতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত- ২, হবিগঞ্জে আব্দুল ছত্তারের স্ত্রী ও শ্বশুর সহ ৫ জন কে আসামী করে পেনাল কোডের ৩৬৪/৩৪ ধারায় সিআর পিটিশন মামলা নং- ২৮/২৩ (চুনারুঘাট) দায়ের করেন।
 বিজ্ঞ আদালত মামলাটির তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই, হবিগঞ্জ জেলাকে নির্দেশ করলে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই, হবিগঞ্জে কর্মরত এস আই (নিঃ) আবুল কাশেম এর উপর ন্যস্ত করা হয়।আজ (৮ই মে ২০২৩) ভিকটিম আব্দুল ছত্তারকে উদ্ধারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হলে সে নিজ ইচ্ছায় আত্নগোপনে ছিলো মর্মে  স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদাণ করে ।