কুলাউড়ায় সংবাদ সম্মেলনে আ.লীগ নেতা সলমান – মাদকাসক্ত উন্মাদ ছাত্রলীগ সভাপতি তায়েফ
![কুলাউড়ায় সংবাদ সম্মেলনে আ.লীগ নেতা সলমান – মাদকাসক্ত উন্মাদ ছাত্রলীগ সভাপতি তায়েফ](https://www.banglakagojnews.com/wp-content/uploads/2024/06/IMG-20240602-WA0005.jpg)
স্টাফরিপোর্টার:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান। শনিবার (১ জুন) রাতে তিনি তার নিজ বাসায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৩১ মে রাতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফের ওপর যে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা সেটি মূলত ইয়াবা ব্যবসার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে। এই হামলার পেছনে আমার কোনো ধরনের ইন্ধন বা বিষয়টি আমার জানাও নেই। বরঞ্চ সে পরিকল্পিতভাবে আমার পরিবারের ২ সদস্যকেও মামলায় আসামি করেছে।
তিনি বলেন, তায়েফ মাদকাসক্ত। সে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত। মাদকের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যবসায়ীক অংশীদাররা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। যার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তায়েফ একটি ফেসবুক পেজের লাইভে এখন বলছে, আমার নির্দেশে নাকি তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলার বিষয়ে আমি অবগতও নই।
তিনি আরও বলেন, তায়েফকে মাদক এমনভাবে গিলে খেয়েছে যে, এখন সে পুরাই উন্মাদ হয়ে গেছে। তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রায় ৩ মাস সিলেটের মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে আমার নিজের টাকায় চিকিৎসা করাই। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে এসে সে পুনরায় তার পুরনো অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এসব আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে আমি তাকে বলেছি, সে যেনো আমার সঙ্গ ত্যাগ করে।
সংবাদ সম্মেলনে মাদকাসক্ত তায়েফ টাকার জন্য বেপরোয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষের কাছে সে চাঁদা চায়। প্রবাসীসহ শতশত মানুষ আমাকে টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগের কমিটির গঠনের সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মীদের পদ দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কর্মীদের কাছ থেকে সে মাসিক টাকা আদায় করতো। টাকা চাওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে বিভিন্ন ইউনিয়নের পদবঞ্চিত কর্মীরা ভাইরালও করেছেন।
২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি কুলাউড়ার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন জানিয়ে সলমান বলেন, টানা ৩ বার কাদিপুর ইউনিয়নে সুনামের সাথে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার বড় ভাই মোসাদ্দিক আহমদ নোমানও ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তার ছোট ভাই জাফর আহমদ গিলমান সুনামের সহিত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
তায়েফের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানিয়ে সলমান বলেন, বর্তমানে আমার পরিবারের মানসম্মান ও আমার ব্যক্তি ইমেজকে নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে আমাকে জড়িয়ে মাদকাসক্ত তায়েফ এখন যে মিথ্যাচার করছে, এ জন্য আমি আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেবো।