বিদ্যুৎ চুরি করে চলছিল ব্যাটারি চালিত যানবাহন চার্জিং, ক্ষতিপূরণ আদায়ে সাড়ে ২২ লাখ টাকার মামলা

প্রকাশিত: ১১:২২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫ | আপডেট: ১১:২২:পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) Iপ্রতিনিধি :

 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি করে অবৈধভাবে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, টমটম চার্জের একটি গ্যারেজ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন এক ওমান প্রবাসী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার আবাসিক প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে বিদ্যুৎ কার্যালয়ের লোকজন অভিযান চালিয়ে ওই প্রবাসীর বাড়িতে একটি চার্জিং গ্যারেজের সন্ধান পান। এসময় ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ ঘটনায় আজ বুধবার ২২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ে মামলা দায়ের করা হয়।

এলাকাবাসী ও জগন্নাথপুর বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হবিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে ওমান প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলী স্হানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয় থেকে নিজ বাড়ির জন্য ১০ কিলোওয়াট লোড বরাদ্দ নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও টমটম চার্জের গ্যারেজ খুলে বসেন। দীর্ঘদিনের রিচার্জ প্যাটার্ন ব্যবহৃত লোডের কোন সামঞ্জস্যতা না থাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের সন্দেহ হলে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্যারেজের সন্ধান পান। পরে গ্যারেজ খুলে দেখা যায় জাহাঙ্গীর আলী ২৯ টি ব্যাটারি চালিত গাড়িতে মিটার বাইপাস করে একাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করে চার্জ দিচ্ছিল। এভাবে প্রতিরাতে একজন ইলেকট্রিশিয়ান ও একজন পাহাড়াদার নিযুক্ত করে বিদ্যুৎ চুরি করে অবৈধভাবে চার্জের ব্যবসা করে আসছিলেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ সহকারী আবুল আজাদ পাবেল জানান, জাহাঙ্গীর আলীর নামে ১০ কিলোয়াট লোড বরাদ্দ থাকলেও তাঁর মাসিক বিল আসে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। যেখানে তাঁর ১৪-১৫ হাজার টাকা বিল আসার কথা। দীর্ঘদিনের রিচার্জ প্যাটার্ন ব্যবহৃত লোডের কোন সামঞ্জস্যতা না থাকায় আমাদের সন্দেহ হলে আমরা সোর্স লাগিয়ে জানতে পারি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ২৫-৩০ টি ইলেকট্রিক যানবাহন অবৈধভাবে সংযোগের মাধ্যমে চার্জিং দিয়ে আসছেন। এজন্য তিনি মাসিক ভাড়ায় একজন পাহারাদার একজন ইলেকট্রিশিয়ান নিযুক্ত করে চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম আজাদ জানান,তাৎক্ষণিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অননুমোদিত ও অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রাপ্ত প্রমাণ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী মিটার হতে রেকর্ডকৃত ডাটা নিরীক্ষা করে বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ অনুযায়ী ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন,আমরা সকল আলামত জব্দ করেছি । এবং সংযোগের মিটারটি আমাদের ল্যাবে পরীক্ষা করে চুরির যাবতীয় তথ্য উপাত্ত প্রমাণাদি আদালতে উপস্থাপন করব।