পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু : পিবিআইকে মামলা তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২২ | আপডেট: ৬:৩৪:অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২২

সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের নির্যাতনে প্রবাস ফেরৎ উজির মিয়ার মৃত্যুর অভিযোগে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশন (পিবিআই)কে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২ মার্চ) বিকেল ৩টায় এ আদেশ দেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার।

সুনামগঞ্জের পাবিলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ড. খায়রুল কবির রুমেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশন (পিবিআই)-এর সুপারকে মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নিহতের ভাই ডালিম মিয়া বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শন্তিগঞ্জ থানার সাবেক(বরখাস্তকুত) উপপরিদর্শক (এসআই ) দেবাশীষ সূত্রধর এবং ওই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।

জানাযায়, চুরির মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গত ৯ ফেব্রæয়াারি রাতে উজির মিয়াকে বাড়ি থেকে একটি চুরির মামলার সন্দেহ জনক আসামি হিসেবে শান্তিগঞ্জ থানার তৎকালিন এসআই দেবাশীষ। এসময় এসআই দেবাশীষ সূত্রধর, এসআই পার্ডন কুমার সিংহ ও এএসআই আক্তারুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি গরু চুরির মামলার সন্দেহ জনক আসামি হিসেবে উজির মিয়াকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে শান্তিগঞ্জ থানার তৎকালিন এসআই দেবাশীষ।

১০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আদালত থেকে জামিন পেয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন উজির মিয়া। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি আরও অসুস্থতা হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন দুপুরে পুলিশি নির্যাতনে উজির মিয়ার মৃত্যুর হয়েছে দাবি করে উজির মিয়ার মরদেহ নিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসী সুনামগঞ্জ-সিলেট পাগলা বাজার এলাকায় অবরোধ করে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল হালিম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবু সাঈদ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমদসহ তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আশ্বাস দিলে ৩ ঘন্টাপর অবরোধ তুলেন তারা। পরে জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল হালিমকে প্রধান করে তিন সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই দিনই শান্তিগঞ্জ থানা থেকে এসআই দেবাশিষকে জেলার দিরাই থানায় বদলী করা হয়।

২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম’র নির্দেশে এসআই দেবাশিষকে ক্লোজড করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে ন্যাস্ত করা হয়।