হাওরে কোথাও বাঁধ ভাঙেনি: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৭:পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২২

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:

হাওরে কোথাও বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেনি। বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে। তবে তিনটি বেড়িবাঁধে স্লিপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, হাওরের ফসলরক্ষায় ১৪টি নদী খনন করা হবে। এসব নদী খনন হলে অকাল বন্যায় থেকে হাওরের ফসলরক্ষার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জের হাওরের বোরো ফসল রক্ষা হয়েছে। তিনটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে কিছু ফসলের ক্ষতি হলেও সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ফসল রক্ষা পেয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের ভুরাখালি এলাকার বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন প্রতিমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আগামীতে হাওরের ফসল রক্ষায় আমরা মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এক হাজার ৫ শত ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর রক্ষায় ১৪ টি নদী খনন সহ বেশ কিছু উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে। আগামী বন্যার আগে এর সুফল পাওয়া যাবে। নদী ও খাল খননের মাধ্যমে নাব্যতা বাড়লে বাঁধ উপচে পানি হাওরে ঢুকবে না। তিনি বলেন, আমরা হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় আন্তরিকতার সহিত কাজ করছি। সাংবাদিকরা অতিরঞ্জিত করে হাওরে বাঁধ ভেঙে ফসল ডুবির খবর প্রচার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ জেলায় ৭২৭ টি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে। তারমধ্যে তিনটি বাঁধে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরার আহবান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতৃপক্ষে কে হাওরে এসে পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে কৃষকদের সাথে কথা বলে প্রকল্প তৈরির নির্দেশ দেন। পরিদর্শনকালে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, পাউবো মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, পাউবো অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহবুর রহমান, সিলেট জোন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম,সিলেট সার্কেল এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শামসুদ্দোহায়া, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন রাশীদ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহারি ঢলে জগন্নাথপুরের ৫টি হাওরে পানি বোরো ফসল তালিয়ে গেছে। এতে ১২০ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার জানিয়েছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত হাওর পর্যবেক্ষনে আছে। হাওরের পাকাধান দ্রুত কাটতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।