চুনারুঘাটে পুলিশের উপর মাদক চোরাকারবারির আক্রমণ: ২০ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার এক

প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৩ | আপডেট: ৯:০৮:অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৩
এফ এম খন্দকার মায়া, চুনারুঘাট :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের  চানপুর বস্তিতে মাদক মামলার পলাতক আসামিকে খুঁজতে গিয়ে মাদক চোরাকারবারি আক্রমণ প্রতিহত করে   ২০ কেজি গাঁজা সহ নুরুল ইসলাম প্রকাশ নজরুল ইসলাম  ওরফে বাঘা লিটনের মহিলা মাদক পাচারের সহযোগী আছমাকে আটক করে থানা পুলিশের একটি টিম। আসমা বাঘা লিটনকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের উপর রামদা দিয়ে কোপ মারে। দস্তা দস্তির এক পর্যায়ে পুলিশ আছমাকে আটক করলেও বাঘা লিটন পালিয়ে যায়।
পরে আছমার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে মঙ্গলবার (১১জুলাই) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে আছমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আছমা চানপুর বস্তী এলাকার ফুল মিয়ার মেয়ে। জানা যায়, পুলিশের কাছে খবর আসে   নুরুল ইসলাম প্রকাশ নজরুল ইসলাম  ওরফে বাঘা লিটন চানপুর বস্তী তার গোপন আস্তানায় আছমার বাড়িতে মাদক কেনা বেচার জন্য অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে  সোমবার রাতে থানার উপ-পরিদর্শক এসআই ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে এসআই ছদরুল আমিন ও সঙ্গীয় নারী কনস্টেবল সহ একদল পুলিশ তার ব্যবসায়িক পার্টনার আছমার  বাড়ি চানপুর বস্তিতে অভিযান চালায়।
একপর্যায়ে আসামীদের কে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ধাওয়া করলে আছমা আক্তার দেশীয় অস্ত্র ধাঁরালো দাঁ দিয়ে পুলিশ কে কোপানোর চেষ্টাকালে নারী কনস্টেবল তানজিনা আক্তার এর সহায়তায় আছমাকে আটক করা হয় । এ সময় আছমার সহযোগিতায় ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বাঘা লিটন পালিয়ে যায়৷ পরে তার ঘর তল্লাশি করে আছমার  দেখানো মতে বসত ঘরের খাটের নিচে লুকায়িত ২০ কেজি এক বস্তা গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র রামদা ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
আটক আছমার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আছমা জানিয়েছে ভারত সীমান্ত পথে দিয়ে তার পার্টনার লিটন গাঁজা সংগ্রহ করে তার নিজ ঘরে রেখে সময় সুযোগে দুজন মিলে প্যাকিং করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাশেদুল হক জানান, এলাকায় মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত আছমা । তিনি নিজ ঘরে মাদকের ব্যবসা করেন। বহু বছর ধরে দুজন মিলে এই ব্যবসা করে আসছেন। এলাকার উঠতি বয়সের টার্গেট করে তাদের খরিদ্দার বানানোই তাদের কাজ। তার পার্টনার বাঘা লিটনের  বিরুদ্ধে মাদক সহ ১২ টি মামলা রয়েছে। তিনি আরো বলেন,  পুলিশ যখন লিটনকে ধরতে অভিযান চালায়, সে সময় আছমা নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে । এলাকার মানুষও তাকে ভয় পায়। গ্রেপ্তারের পর মাদক আইনে মামলা দিয়ে আছমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে