তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫

প্রকাশিত: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ | আপডেট: ১২:১৫:পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২

সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিক লাঞ্চনার প্রতিবাদ কর্মসূচির জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সংঘর্ষে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, কামরুল, বদরুজ্জামান, আসাদ ও গোলাম হোসেন।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের মধ্যবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন, সুমী অক্তার (৪০), বর্ষা অক্তার (২০), নেজারুল ইসলাম(৩৫), আনজু মিয়া(৩৫), অনিক মিয়া (১৭), রাসেল মিয়া(২৭), রুনা বেগম(১৮), অংকন অমর গণি (১২)সহ ১৫ জন। তবে, আহতরা পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে কিনা, প্রতিপক্ষে গুলিতে আহত হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে জানাযায়নি।

তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি
ছুড়েছে। সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার তাহিরপুর উপজেলা সদরের ডাকবাংলোতে ভাষা দিবস পালন সংক্রান্ত একটি বৈঠকে স্থানীয় সাংবাদিক ও ছাত্রলীগ নেতা রাজন চন্দকে লাঞ্ছিত করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাফিজুর তালুকদার। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জেরে হাফিজুরের সমর্থকদের হাতে ফের লাঞ্ছিত হন রাজনের পিতা তাহিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ।

সাংবাদিক পিতা-পুত্র  লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সদরে মানববন্ধন করে উপজেলা  প্রেসক্লাবের একাংশ ও স্থানীয় নাগরিক ঐক্য পরিষদ। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানসেন তালুকদার তুষার ও ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক রাজন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে তানসেন ও রাজন উপজেলা সদরের পুকুরপাড় দিয়ে যাওয়ার সময় হাফিজুরের ভাতিজা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল বাশরের নেতৃত্বে তাদের ধরে মারপিট করে একদল যুবক। তুষার বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের এ ঘটনা জানালে তার স্বজনরা প্রতিরোধ করতে আসলে উপজেলা সদরের মধ্যবাজারে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ।

সংঘর্ষের পর থেকে তাহিরপুর সদরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।