আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি: মো. মাফিজ খান পাচ্ছেন ‘প্রবাসী সম্মাননা-২০২৫’
বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি মো. মাফিজ খানকে বাংলাদেশ ও প্রবাসে শিক্ষা, মানবিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ‘প্রবাসী সম্মাননা-২০২৫’ প্রদান করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সিলেট জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মাসুদ রানা আনুষ্ঠানিকভাবে মো. মাফিজ খানকে এ সম্মাননা প্রাপ্তির বিষয়টি অবহিত করেন।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানটি কবি নজরুল একাডেমী, রিকাবী বাজার, সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে।
মো. মাফিজ খান দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থান করেও দেশের শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি এবং বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত জালালাবাদ সুন্নি জামে মসজিদের সাবেক ট্রাস্টি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি গ্রেটার সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, ওয়েস্ট মিডল্যান্ড রিজনের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, বার্মিংহামের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
তিনি গ্রেটার বিশ্বনাথ উপজেলা সমিতি, ওয়েস্ট মিডল্যান্ড-এর সাবেক সভাপতি, বিশ্বনাথ সরকারি ডিগ্রি কলেজ প্রবাসী শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি এবং বাংলাদেশ সেন্টার, লন্ডনের আজীবন সদস্য। পাশাপাশি লন্ডন ও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত মাসিক ‘বাংলা কাগজ’ পত্রিকার সভাপতি মণ্ডলির উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ওয়ান পাউন্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য, বিশ্বনাথ এইড-এর সদস্য এবং বিশ্বনাথ এইড ও বিশ্বনাথ ইউনিয়ন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টসহ অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।
বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে-এর মাধ্যমে প্রতিবছর উপজেলার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এলাকার রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবিক সহায়তা প্রদানসহ দেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে একজন দায়িত্বশীল কমিউনিটি লিডার হিসেবেও তিনি সুপরিচিত।
এছাড়াও ১৯৯৩ সালে তিনি এককভাবে নিজ অর্থায়নে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে আমির্তি নদীর পাড় থেকে নিজ গ্রামের রাস্তায় গার্ডওয়াল নির্মাণসহ মাটি ভরাট ও ইট সলিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি অসংখ্য গৃহহীন মানুষকে নিজ অর্থায়নে গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন এবং সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সহায়তা প্রদান করে আসছেন।
তার এই বহুমুখী সামাজিক ও মানবিক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে ‘প্রবাসী সম্মাননা-২০২৫’ প্রদান করা হচ্ছে—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

