বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওরা আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত আব্দুল জব্বাররা যে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ছিলেন তারা তা ভুলে গিয়ে ছিল।
রোববার ( ২৭ আগষ্ট) বিকেলে জেলা পরিষদ হলরুম কুলাউড়ায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস এবং২১শে পদকে ভূষিত ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বারের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি এসব কথা বলেন, প্রধান অথিতি আরো বলেন “আব্দুল জব্বারের মতো এই দেশের অগণিত মানুষ বঙ্গবন্ধুর সাহচর্য পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তারা এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছে, মাত্র ৯ মাসে তারা বিশ্বের একটি অন্যতম পরাক্রমশালী সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করে এই দেশ স্বাধীন করেছে। যতদিন এই দেশ থাকবে, যতদিন মুক্তিযুদ্ধ থাকবে, যতদিন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ আমাদের বুকে লালিত হবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছা যাবে না। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর আব্দুল জব্বারদের নামও সিলেটের ইতিহাস থেকে কোনদিনই মুছে ফেলা যাবে না।আব্দুল জব্বারের উত্তরসূরিরা প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রক্ষমতায় রাখতে কাজ করে যাবেন।”
আব্দুল জব্বার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ ও মরহুম আব্দুল জব্বারের পুত্র মো. আবু জাফর রাজুর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, শফিউল আলম শফি ও সিএম জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম বদর, মমদুদ হোসেন, বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান ফজলুল হক ফজলু, কমর্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম সবুজ, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনামুল হক মিফতা প্রমুখ।