অবশেষে কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারের আলোচিত স্কুল ছাত্রী আনজুম হত্যাকারী কিলার জুনেলের ২ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেছে আদালত

প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫ | আপডেট: ৬:২৬:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫

ব্রাহ্মণবাজারের আলোচিত স্কুলছাত্রী নাফিসা জান্নাত আনজুমের একমাত্র হত্যাকারী কিলার খুনি জুনেলকে এবার মৌলভীবাজার আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) ওমর ফারুক নিজে উপস্থিত থেকে ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ৩য় বারের মতো খুনী জুনেলের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করলে
মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ৫নং আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

খুনি জুনেলের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে এ খবর শুনে আনজুমের পরিবারের সদস্যরা ও এলাকায় সাধারণ জনগণের মধ্যে এবার অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য স্কুল ছাত্রী আনজুমের হত্যার ঘটনার ২ দিনের মাথায় পুলিশ একমাত্র খুনি জুনেলকে গ্রেফতার করলে তাদের কাছে আনজুম হত্যার কথা স্বীকার করে সে । এরপর প্রথমে গত ১৯ জুন তাকে আদালতে তুললে চত্বুর খুনি জুনেল বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী না দিয়ে বিচারকার্যকে বাধাগ্রস্ত করতে চলনার আশ্রয় নেয়। এরপর ২য় বারের মতো গত ৩০ জুন রিমান্ডের জন্য আদালতে জুনেলকে তুললে আদালত রিমান্ড না দিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেয় এতে এতদিন থেকে আনজুম হত্যার সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, এরপর জেলা জুড়ে ও স্কুলে স্কুলে শুরু লাগাতার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা ও আন্দোলন।

অবশেষে ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকালে ৩য় বারের মতো মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ৫নং আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের খাস কামরায় রিমান্ড আবেদনের জন্য তুলা হয় খুনি জুনেলকে। তবে এবার ও খুনি জুনেলের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। তবে আনজুমের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়াও অন্যান্য বেশ কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

আনজুমের একমাত্র খুনি জুনেলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় এবার সুষ্ঠু বিচার পাবেন বলে মনে করেন খুন হওয়া স্কুল ছাত্রী আনজুমের পরিবার ও এলাকাবাসী।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ওমর ফারুক রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আমরা আদালতে খুনি জুনেলের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম, আদালত তাকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন।