জগন্নাথপুর গেজেট হওয়ার এক বছর পরও বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সন্মানি ভাতা পাচ্ছেন না
![জগন্নাথপুর গেজেট হওয়ার এক বছর পরও বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সন্মানি ভাতা পাচ্ছেন না](https://www.banglakagojnews.com/wp-content/uploads/2023/03/জগন্নাথপুর.jpg)
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে
গেজেট প্রকাশের এক বছর পরও এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার মুক্তিযোদ্ধা সন্মানী ভাতা পাচ্ছে না। ফলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান ২০১৩ সালে মারা যান। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভূক্ত না হলেও স্হানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয় । এরপর তাঁর স্ত্রী আনোয়ার বেগম ২০১৯ সালের ২৪ জুন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে নাম তালিকাভূক্ত করার আবেদন করেন। যার প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গেজোটভূক্ত হয়। (গেজেট নম্বর ৪৯৪৭) ২০২০ সালে আনোয়ারা বেগম মৃত্যু বরণ করলে তাঁর ছেলে মুকিত মিয়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান সংক্রান্ত উপজেলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুল মুকিত জানান, আমার বাবা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দে-শ স্বাধীনে ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাবার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাবা ও মা দেখে যেতে পারলেন না। অনেক দৌঁড়ঝাপের পর গেজেট হলেও এক বছর ধরে সন্মানি ভাতা পাচ্ছি না। সোনালী ব্যাংকে ঘুরে এখন ক্লান্ত ও হতাশ।
সোনালী ব্যাংক জগন্নাথপুর শাখা ব্যবস্হাপক ওয়ালিদ আহমেদ বলেন, ব্যাংকের দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ততার কারণে এ বিষয়ে ফাইল প্রস্তুতি কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অচিরেই সুরাহার চেষ্টা করব।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট প্রকাশের পর আমরা সন্মানী ভাতার জন্য সোনালী ব্যাংকে কাগজপত্র পাঠিয়েছি। কেন ভাতা পেতে বিলম্ব হচ্ছে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেব।