দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর আগামি জাতীয় নির্বাচনে সুনামগঞ্জ -৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির নিজ দলীয় মনোনীত প্রার্থী। অনেকদিন ধরেই এ আসনে জোটের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছিলেন। তাই এবারও আসনটি নিয়ে জল্পনা কল্পনা ছিল জোট পাবে নাকি বিএনপি। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে সোমবার। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাচনী বোর্ড এ আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, যুক্তরাজ্য বিএপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা কয়ছর এম আহমদ নাম ঘোষনা করেন। দীর্ঘদিন পর দলীয় প্রার্থী পেয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ ৩ আসনে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জয়নুল জাকেরীন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে তৎকালিন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তারমধ্যে ২০০৫ সালে আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুবরণ করলে তার এ শুন্য আসনে চারদলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধূরী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুগ্ম সচিব এমএ মান্নানকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। ২০১৪ ও ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একতফা নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।
জানা গেছে, ২৪ এর আগষ্ট আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর আওয়ামী লীগের দূর্গ বলে খ্যাত এ আসনে দখল নিয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয়ে উঠে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী ছিলেন। সোমবার প্রার্থিতা ঘোষনা পর সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে দলের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী এলাকার উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার ঝড় তুলেন।তবে বিভক্ত বিএনপির একাংশের লোকজনকে নিরব ভূমিকায় দেখা গেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্ববায়ক আব্দুল হাসিম ডালিম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল দলীয় প্রার্থী। আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় কয়ছর এম আহমদকে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করায় আমরা খুবই খুশি।
জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির আহ্ববায়ক আবু হোরায়রা ছাদ মাস্টার বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এ আসনের দলীয় প্রার্থী দাবী জানিয়ে আসছিলাম। শরীক দলের কারণে আমাদের আসনটি ছাড় দিতে হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর পর দলের প্রত্যাশিত প্রার্থী পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ ৩ আসনের বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ বলেন, প্রথমে আল্লাহপাকের শুকরিয়া জানাই। পাশাপাশি আমাদের মনোর্নীত করায় দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের হাইকমান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, অনেক বছর ধরেই এ আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়ার দাবী উঠে আসছিল। এবার জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলো। যারা মনোনয়ন পাননি তাদের সঙ্গে নিয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের বিজয়ী সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ কবর। ৩০ বছর পর প্রার্থী পেল বিএনপি, উচ্ছ্বাসিত দলের নেতাকর্মীরা
আলী আহমদ. জগন্নাথপুর
দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর আগামি জাতীয় নির্বাচনে সুনামগঞ্জ -৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির নিজ দলীয় মনোনীত প্রার্থী। অনেকদিন ধরেই এ আসনে জোটের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছিলেন। তাই এবারও আসনটি নিয়ে জল্পনা কল্পনা ছিল জোট পাবে নাকি বিএনপি। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে সোমবার। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাচনী বোর্ড এ আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, যুক্তরাজ্য বিএপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা কয়ছর এম আহমদ নাম ঘোষনা করেন। দীর্ঘদিন পর দলীয় প্রার্থী পেয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ ৩ আসনে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জয়নুল জাকেরীন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে তৎকালিন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তারমধ্যে ২০০৫ সালে আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুবরণ করলে তার এ শুন্য আসনে চারদলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধূরী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুগ্ম সচিব এমএ মান্নানকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। ২০১৪ ও ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একতফা নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।
জানা গেছে, ২৪ এর আগষ্ট আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর আওয়ামী লীগের দূর্গ বলে খ্যাত এ আসনে দখল নিয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয়ে উঠে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী ছিলেন। সোমবার প্রার্থিতা ঘোষনা পর সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে দলের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী এলাকার উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার ঝড় তুলেন।তবে বিভক্ত বিএনপির একাংশের লোকজনকে নিরব ভূমিকায় দেখা গেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্ববায়ক আব্দুল হাসিম ডালিম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল দলীয় প্রার্থী। আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় কয়ছর এম আহমদকে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করায় আমরা খুবই খুশি।
জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির আহ্ববায়ক আবু হোরায়রা ছাদ মাস্টার বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এ আসনের দলীয় প্রার্থী দাবী জানিয়ে আসছিলাম। শরীক দলের কারণে আমাদের আসনটি ছাড় দিতে হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর পর দলের প্রত্যাশিত প্রার্থী পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ ৩ আসনের বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ বলেন, প্রথমে আল্লাহপাকের শুকরিয়া জানাই। পাশাপাশি আমাদের মনোর্নীত করায় দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের হাইকমান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, অনেক বছর ধরেই এ আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়ার দাবী উঠে আসছিল। এবার জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলো। যারা মনোনয়ন পাননি তাদের সঙ্গে নিয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের বিজয়ী সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ কবর।
